কালিদাস রচিত "অভিজ্ঞান শকুন্তলম" নাটকে অনসূয়া প্রিয়ংবদার চরিত্রের পর্যালোচনা, । একটি অধ্যায়ন।
Author : Haridas Biswas
Abstract :
ভারত তথা সারা বিশ্বের কবিদের মধ্যে কবি কুল শিরোমণি এবং সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন মহান মহাকবি কালিদাস। তিনি ভারতের ইতিহাসে সংস্কৃত সাহিত্যের নতুন যুগের প্রতিনিধি। সরস্বতীর পুত্র কালিদাস একজন মহান কবি ছিলেন, কিন্তু নাটকে তাঁর দক্ষতা ছিল অবিসংবাদিত। কালিদাসের বিশ্ববিশ্রুত নাটক "অভিজ্ঞান শকুন্তলম" সংস্কৃত সাহিত্যের পাশাপাশি বিশ্বদরবারেও শ্রেষ্ঠ নাটক হিসেবে বিবেচিত হয়। মহাভারতে বর্ণিত হস্তিনাপুরের রাজা দুষ্যন্ত এবং আশ্রম কন্যা বিশ্বামিত্রের কন্যা শকুন্তলার প্রেমকাহিনী এই নাটকের মূল উৎস। কালিদাসের নাট্য প্রতিভা বিকশিত হয়েছিল তাঁর বিভিন্ন নাটকীয় চরিত্রের চিত্রায়নের মাধ্যমে। নাটকের চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে তিনি অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছেন। নাটকে মুখ্য চরিত্রের পাশাপাশি গৌণ চরিত্রেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। শকুন্তলার দুই প্রিয় বন্ধু, আনসুয়া এবং প্রিয়ম্বদা নাটকটিতে গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং এই চরিত্রগুলি কালিদাসের নিজস্ব সৃষ্টি। অভিজানন শকুন্তলম নাটকের প্রথম অভিনয় থেকে চতুর্থ অভিনয় পর্যন্ত তাদের চরিত্রগুলো কবির কল্পনায় মূর্ত। অনসূয়া এবং প্রিয়ম্বদা চরিত্রগুলি কেন্দ্রীয় চরিত্র শকুন্তলার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তাঁর দুই বন্ধু অনুসূয়া এবং প্রিয়ম্বদা এই গল্পটিকে অর্থবহ করে তুলেছিলেন। এই দুটি চরিত্রের মধ্যে প্রধান চরিত্র শকুন্তলা চরিত্রায়নে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। এই চরিত্রটি এখানে প্রিয়ম্বদা ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। তবে এক কথায় বলা যেতে পারে যে এখানে প্রিয়ম্বদার চরিত্রটি ছিল সম্বায়ভরা এবং শকুন্তলার ইচ্ছা সমান সহানুভূতিশীল কিন্তু প্রিয়ম্বদার চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য এখানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রিয়ম্বদা ছিলেন প্রফুল্ল, চটপটে, বাগ্মী, সামাজিক চিন্তাবিদ, আবেগপ্রবণ, মৃদুভাষী, বহির্মুখী, দক্ষ, নারীসুলভ।
Keywords :
বিশ্ববিশ্রুত, সমবায়োরূপ, প্রত্যুৎপন্নমতি, মিষ্টভাষী, আবেগ প্রবণ।